মিজবাউল হক, চকরিয়া: মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন আমার কোন টাকা পয়সা নেই। কিভাবে ছেলের পড়ালেখা করাবো ? পরে রাষ্ট্রের টাকা খরচ করে তাদের পড়ালেখা করা হয়। পরবর্তীতে সেই টাকা নিয়ে তারা কী করেছে সবাই জানেন। বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করেছে। এমনকী সৌদি বাদশা কর্তৃক গ্রেফতার হওয়ার ১২জন যুবরাজের কাছে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি ডলার রেখেছেন এই জিয়া পরিবার। সেখানে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নেওয়াজ শরীফের টাকাও রয়েছে বলে বক্তব্য বলেন মন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, বেগম জিয়ার এক পুত্র সিঙ্গাপুরের টাকা পাচার করেছেন। টাকা পাচারের অপরাধে সাজাও হয়েছে। সেই টাকা দেশে ফেরত আনা হয়েছে। বর্তমানে সেইসব টাকা মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে ব্যবহার করা হচ্ছে।
২৪ জানুয়ারি সকাল ১১টায় চকরিয়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বাঙ্গালী কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত স্কুল এন্ড কলেজের শুভ উদ্বোধন এবং পরবর্তী সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বাঙ্গালী কল্যাণ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম সেলিমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, মহেশখালী-কুতুবদিয়ার এমপি আশেক উল্লাহ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এড: সিরাজুল মোস্তাফা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল হক মুকুল, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী কানিজ ফাতেমা মোস্তাক, চকরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ সভাপতি আলহাজ্ব জাফর আলম, সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বাঙ্গালীকে স্মরণ করে মন্ত্রী মোজাম্মেল হক আরও বলেন, যেখানে পাকিস্তানিরা হামলা, লুটপাট ও যুদ্ধ সংঘঠিত হয়েছিলো, সেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের নামে স্মৃতি চিহৃ গড়ে তুলা হবে।
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা আর অবহেলায় থাকবে না। মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বাড়ানো হয়েছে। আগে তিন হাজার টাকা পেতো আর এখন দশ হাজার টাকা পাচ্ছেন। তারা আগে বছরে দুইবার বোনাস পেতেন আগামী বছর থেকে আরও তিন বার বোনাস পাবেন। সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের কবর সংরক্ষণের পর একই ডিজাইনের করে গড়ে তোলা হবে। যাতে নতুন প্রজন্মরা বুঝতে পারে এটা মুক্তিযোদ্ধাদের কবর। সকল মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা নিজ একাউন্টে চলে যাবে। সেটা আগামী তিনমাসের মধ্যে কক্সবাজার জেলার মুক্তিযোদ্ধাদের দিয়ে শুরু করা হবে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। এমনকী সাকা চৌধুরীর বিচার কাজও সম্পন্ন হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এগিয়ে যাবে। এই সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছেন। তাই আগামীতে আওয়ামীলীগ সরকারকে ক্ষমতায় আনতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এরপরই মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বঙ্গালী স্কুল এন্ড কলেজের ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। এসময় বক্ত্যব্য রাখেন, মাতামুহুরী থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মহসিন বাবুল, পেকুয়ার আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সরওয়ার আলম, মোক্তার আহমদ চৌধুরী, এমআর চৌধুরী, ছৈয়দ আলম কমিশনার, মুজিবুল হক রতন, সাবেক যুগ্ম আহবায়ক জামাল উদ্দিন জয়নাল, মহানগর আওয়ামীলীগ নেতা সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, কানাডা যুবলীগ নেতা জসিম উদ্দিন চৌধুরী, কক্সবাজার জেলার সাবেক শিক্ষা অফিসার মাষ্টার আবদুল লতিফ, মাষ্টার মাহমুদুর রহমান, পৌরসভা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু, সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরী, অধ্যাপক সাহাবউদ্দিন. মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাফিয়া খাতুন শম্পা, সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত ওসমান চেয়ারম্যান, মিজবাউল হক, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা রুস্তম শাহরিয়ার, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হায়দার আলী, শেফায়েত কবির বাপ্পী ছাড়াও উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দরা। অপরদিকে বিকাল তিনটার দিকে চকরিয়া প্রো ক্যাডেট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল কাইয়ুমের সভাপতিত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে মন্ত্রী মোজাম্মেল হককে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেখানে বক্তব্য রাখেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শাহজাহান, চকরিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাজী বশিরুল আলম, মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ উল্লাহ, মাহাবুবুল হক, আবু তাহের, ইউনুছ বাঙ্গালী। পরে তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শন করেন। ##
পাঠকের মতামত: